অভ্যাস অনুযায়ী এক এক জন মানুষ এক এক সময়ে গোসল করে করেন। চাকরিজীবীরা সকালেই গোসল করতে পছন্দ করেন। শ্রমিকদের বেশির ভাগই দিনের কাজ শেষ বিকালের দিকে গোস করেন। প্রশ্নটা হচ্ছে গোসলের সঠিক সময় কখন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, গোসল করার জন্য কোনও ধরাবাঁধা সময় নেই। নিজের পছন্দমতো যে কোনও সময়ই গোসল করা যেতে পারে। সকাল, দুপুর বা রাতে গোসল করার মধ্যে বিশাল কোনও পার্থক্য নেই। যেকোনো সময়ই গোসলের নিজস্ব উপকারিতা রয়েছে। কাদের কোন সময় স্নান করা উচিত, তা জানা থাকলে ভালো।
আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে ঘুম থেকে ওঠার পরই গোসল করে নেওয়া ভালো। ডার্মাটোলজিস্টদের মতে রাতে ঘুমনোর সময় আমাদের ত্বকের ওপরের স্তরে অতিরিক্ত তেল জমা হয়। সকালে উঠে গোসল করে না নিলে অ্যাকনে এবং ওপেন পোরসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আপনার যদি সকালে সহজে চোখ থেকে ঘুম না ছাড়ে, তাহলে গোসল করে নেওয়া ভালো। কারণ ঘুম তাড়াতে এক কাপ কফির থেকেও উপযোগী ভালো করে গোসল করে নেওয়া। সকালে গোসল করলে মেটাবলিজম রেট বাড়ে এবং নিজেকে ফ্রেশ লাগে।
সকালে যাদের ওয়ার্ক আউট করার অভ্যেস, তারা ব্যায়াম করার পরই গোসল করে নিন। না হলে ওয়ার্ক আউটের পরের ঘাম শরীরে বসে যাবে। এই ঘাম থেকে ব্যাকটিরিয়ার জন্ম নিতে পারে।
যদি ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন তাহলে সকাল মনকে তরতাজা করার জন্য স্নান করে নেওয়া খুবই ভালো।
যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থাকে, তাহলে রাতে ঘুমনোর আগে গোসল করা প্রয়োজন। ভালো করে গোসল করে ঘুমাতে গেলে ঘুম ভালো হয় বলে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে।
আপনার ত্বক যদি শুষ্ক হয়, তাহলে সকালে নয়, রাতে গোসল করুন। সারাদিনের পর কাজের পর বাড়ি ফিরে গোসল করলে আপনার ত্বক ভালো থাকবে। সকালে স্নান করলে আপনার ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
আপনি যদি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, ডায়াগনস্টিক ল্যাবে কাজ করেন বা সারাদিন বাইরে ঘুরে কাজ করতে হয়, তাহলে রাতে বাড়ি ফিরে গোসল করে নিন। কারণ সারাদিনে বহু মানুষ এবং নানা ধরনের জীবাণুর মধ্যে কাটাতে হয় আপনাকে। তাই বাড়ি ফিরে ভালো করে গোসল করে নেওয়া আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার যদি বিকেলে ওয়ার্ক আউট করার অভ্যেস থাকে, তাহলে রাতে গোসল করে নিন। না হলে ওয়ার্ক আউটের ঘাম শরীরে বসে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। ব্যায়াম করে গোসল সেরে ঘুমোতে গেলে ঘুম ভালো হবে।